জুয়ার লোগো ছাড়া মাটে মুস্তাফিজুর রহমান
আইপিএলে স্পনসর থেকে আসে অনেক টাকা । তাই দল গুলো অনেক টাকা পাই। ক্রিকেটারদের জাার্সতে লোগো দিয়ে তারা তা পচার করে। সে লোগো দেয়া হইনি মুস্তাফিজুর রহমান এর জার্সিতে ।
আমরা যে কোন খেলায় মঈন আলিকে বা অন্য কোন মুসলিম ক্রিকেটার কে মদ বাজুয়ার লোগো জার্সিতে দেকতে পায়না । এবার আমাদের মুস্তাফিজুর রহমান কে দেখা গেছে মদের লোগো ছাড়া খেলতে। সবাই ভেবে ছিল হয়ত মুস্তাফিজুর রহমান কে জরিপানা করা হবে, কিন্তু তা করা হয়নি।মুসলিম ক্রিকেটার হিসাবে তারা তাকে স্মান যানিয়েছে ।
আপিএলের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির মতো চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতেও রয়েছে বিভিন্ন সংস্থার লোগো। জার্সিতে সেই সব লোগো নিয়েই মাঠে নামছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, রবীন্দ্র জাডেজার মতো ক্রিকেটারেরা। ব্যতিক্রম মুস্তাফিজুর রহমান এবং মঈন আলি। ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির অন্যতম কর্পোরেট স্পনসরের লোগো জার্সি থেকে খুলে ফেলেছেন তাঁরা। কারণ সেই সংস্থা মদ প্রস্তুত করে।
চেন্নাইয়ের ডানহাতি ক্রিকেটারদের বাঁ হাতে এবং বাঁহাতি ক্রিকেটারদের ডান হাতে একটি সংস্থার লোগো রয়েছে। আইপিএলের লোগোর ঠিক উপরে রয়েছে ‘এসএনজে ১০০০০’ লেখা একটি লোগো। সকলের জার্সিতে লোগোটি দেখা গেলেও ব্যতিক্রম বাংলাদেশের জোরে বোলার এবং ইংরেজ অলরাউন্ডার। সেই লোগোটি ছাড়াই আইপিএলের ম্যাচ খেলছেন মুস্তাফিজুর, মঈন। তাঁরা ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁদের জার্সিতে যেন লোগোটি ছাপা না হয়। নির্দিষ্ট ওই লোগোটি নিয়ে মাঠে নামবে।
কেন এমন সিদ্ধান্ত মুস্তাফিজুর, মঈনের? জানা গিয়েছে, চেন্নাই সুপার কিংসের ওই কর্পোরেট স্পনসর একটি মদ প্রস্তুতকারক সংস্থা। লোগোর মধ্যে অ্যালকোহল বা তেমন কোনও শব্দ না থাকলেও মুস্তাফিজুরেরা ধর্মীয় কারণে আপত্তি জানান। লোগোটি তাঁদের জার্সি থেকে সরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান। নিয়ম অনুযায়ী, ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির সব স্পনসর সংস্থার লোগোই জার্সিতে ব্যবহার করতে বাধ্য থাকেন ক্রিকেটারেরা। সংস্থাগুলির হয়ে বিজ্ঞাপনও করেন তাঁরা। এ ক্ষেত্রে অবশ্য মুস্তাফিজুরদের অনুরোধ মেনে নিয়েছেন চেন্নাই সুপার কিংস কর্তৃপক্ষ। প্রস্তুতকারীদের বলে দেওয়া হয় মুস্তাফিজুর এবং মঈনের জার্সিতে নির্দিষ্ট লোগোটি না রাখতে। সেই মতোই মদ প্রস্তুতকারক সংস্থার লোগো ছাড়াই আইপিএলের ম্যাচ খেলছেন বাংলাদেশের জোরে বোলার। ধোনি, জাডেজাদের থেকে একটি কম লোগো জার্সিতে নিয়ে মাঠে নামছেন দুই ক্রিকেটার।